ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে শুক্রবার (১২ মে) টস হেরে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরি আর ডকরেলের অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারের ম্যাচে ৪৪ ওভার ৩ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। দলের জয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত।
ম্যাচ সেরা হওয়া শান্ত বলেছেন, ‘আমার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, সেজন্য আমি খুব আনন্দিত। আমার মনে হয় হৃদয় খুব ভালো ব্যাটিং করেছে, যেভাবে সে ব্যাট করেছে আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।’
দর্শক নিয়ে শান্ত বলেন, ‘মনেই হয়নি বাংলাদেশের বাইরে খেলছি। দেশে খেলার মতো অনুভূতি হয়েছে। দর্শকদের ধন্যবাদ, আশা করছি সামনেও তারা আমাদের এভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে।’
৩২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিরেছিলেন চতুর্থ ওভারে, বড় রান করতে পারেননি লিটন দাস-সাকিব আল হাসানও। এরপরই শুরু নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের। চাপ সামলে খেলতে থাকেন দারুণ সব শট। শান্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান, হাফ সেঞ্চুরি পাড় করেন হৃদয়ও। তাদের বিদায়ে ম্যাচ কিছুটা জমে উঠলেও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়ে শেষ অবধি জিতেছে বাংলাদেশই।
এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। তার ভেতরে ঢোকা এক বল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লেগে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, শূন্য রানে ফিরতে হয় স্টার্লিংকে। হাসান মাহমুদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় সাফল্যও।
এবার তিনি ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানিকে। ২১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার পয়েন্ট অঞ্চলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়ে তুলেছিলেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। ১০৪ বলে তাদের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
৫৭ বলে ৪২ রান করে তার ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আইরিশ অধিনায়ক। মাঝে লরকান টাকারকে শরিফুল ও কার্টিস ক্যাম্পারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তখনও ক্রিজের একপাশে ছিলেন হ্যারি টেক্টর। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন।
তাতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। তাইজুলের ৩৭তম ওভার থেকে ১৬, শরিফুলের করা পরের ওভারে আসে ২৪ রান। প্রতি ওভারেই ১০ এর বেশি করে রান নিতে থাকে ডকরেল-টেক্টর জুটি। তাদের দু’জনের জুটিতে ৬৮ বলে আসে ১১৫ রান। অবশেষে সেটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার বলে বোল্ড হন টেক্টর।
তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামীকাল রবিবার।
Leave a Reply